অকালেই চলে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের টিভি সিরিয়ালের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পল্লবী দে। গতকাল ভারতীয় সময় সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে গড়ফা আবাসিক এলাকার নিজস্ব ফ্ল্যাট থেকে অভিনেত্রীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলেছিল তাঁর মরদেহ, গলায় জড়ানো ছিল বিছানার চাদর। তাঁর বয়স হয়েছিল মাত্র ২৫ বছর।
প্রেমিককে নিয়ে ওই ফ্ল্যাটে থাকতেন তিনি। তার মৃত্যু স্বাভাবিক নয় বলে দাবি করে আসছে পরিবার। তাদের ধরণা, পল্লবীকে খুন করা হতে পারে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে ভিন্ন কথা।
রোববার পল্লবীর মরদেহ উদ্ধার করার পর সেটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় গড়ফা থানার পুলিশ। এর কয়েক ঘণ্টা বাদে ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট থেকে জানা গেছে, পল্লবী আত্মহত্যাই করেছেন। ঘটনার পরই পল্লবীর লিভ-ইন সঙ্গীকে গ়ড়ফা থানায় ডেকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই সঙ্গী থানাতেই ছিলেন বলে জানায় পুলিশ।
পল্লবীর সঙ্গী একটি বেসরকারি সংস্থায় কাজ করেন। পুলিশি জেরায় তিনি স্বীকার করেছেন, গত শনিবার (১৪ মে) রাতে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। রোববারও অশান্তি হয়েছিল। এরপর কিছুক্ষণের জন্য বাইরে সিগারেট খেতে গিয়েছিলেন তিনি। ফিরে দেখেন দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে তিনি পল্লবীর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান।
কী এমন হয়ে গেল ‘আত্মহত্যা’ করতে হলো অভিনেত্রীকে? এমন প্রশ্ন তুলেছেন তাঁর সহশিল্পীরা।
অভিনেতা ভরত কল গণমাধ্যমে জানান, তিন দিন আগে তাঁর মেয়ের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন পল্লবী। বলেন, ‘আমার মেয়ের ভালো বন্ধু ও। তিন বছর ধরে সুনামের সঙ্গেই ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছে। একের পর এক সিরিয়ালে কাজ করছে, ও কেন আত্মহত্যা করতে যাবে?’
অন্যদিকে, পল্লবীর পরিবার খুনের দিকেই ইঙ্গিত করছে বার বার। পুলিশ সূত্রে খবর, সমস্ত দিকই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পল্লবী ও তার সঙ্গীর মধ্যে সম্পর্ক ইদানীং কেমন ছিল, কেন তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়েছিল ঘটনার আগে, সব বিষয়ই নিখুঁত ভাবে দেখতে চান তদন্তকারীরা।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।